কাটোয়ার বহুল আলোচিত রেলগেট সমস্যার সমাধানে অবশেষে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রেলের আধিকারিক ছাড়াও বিদ্যুৎ দপ্তর, ট্রাফিক বিভাগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (PWD) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূল আলোচ্য বিষয় কাটোয়া রেলগেটের জট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ।
এদিন বৈঠকের আগে রেলগেট এলাকা ও বেলতলা চত্বর পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা। দীর্ঘদিন ধরে কাটোয়াবাসীর কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে দাঁড়ানো এই রেলগেট প্রতিদিন হাজারো মানুষকে ভোগান্তির মুখে ঠেলে দেয়। সকাল থেকে রাত প্রায় প্রতি ঘণ্টায় একাধিকবার গেট বন্ধ থাকে ১৫-২০ মিনিট কিংবা তারও বেশি সময় ধরে। ৭৮ জোড়া লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি মালগাড়ি ও ইঞ্জিন পরিবর্তনের চাপের ফলে শহরের মূল প্রবেশপথ প্রায়ই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এর ফলে অসুবিধায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ, রোগী থেকে শুরু করে জরুরি পরিষেবা পর্যন্ত। বিশেষত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছানোর পথে এই রেলগেটই সবচেয়ে বড় বাধা। অ্যাম্বুলেন্সও প্রায়ই গেটের সামনে আটকে যেতে বাধ্য হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তোলে।
বৈঠক শেষে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ শর্মিলা সরকার জানান, কাটোয়া রেলগেট সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। রেলের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য ফ্লাইওভারের জায়গা পরিদর্শন করেছেন। আগামী দিনে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও পরিকল্পনা করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়া হবে।
কাটোয়া শহরের মানুষ বহু বছর ধরে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রত্যাশা করছেন। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণের এই উদ্যোগকে ঘিরে নতুন আশার আলো দেখছেন কাটোয়াবাসী।