newsnetwork7.com
Advertisement
  • হোম
  • পূর্ব বর্ধমান
  • জেলার খবর
    • All
    • কলকাতা
    • পূর্ব বর্ধমান
    প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

    প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

    ১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

    ১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

    রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    কালনা মহকুমা হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে

    কালনা মহকুমা হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে

  • দেশ
  • বিনোদন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
    BSNL-এর বড় ঘোষণা! অর্ধেক দামে আনলিমিটেড কলিং ও ডেটা, শুরু মাত্র ₹১৯৯ থেকে!

    BSNL-এর বড় ঘোষণা! অর্ধেক দামে আনলিমিটেড কলিং ও ডেটা, শুরু মাত্র ₹১৯৯ থেকে!

    Trending Tags

  • জানা অজানা
  • খেলা
    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    Trending Tags

No Result
View All Result
  • হোম
  • পূর্ব বর্ধমান
  • জেলার খবর
    • All
    • কলকাতা
    • পূর্ব বর্ধমান
    প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

    প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

    ১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

    ১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

    রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    কালনা মহকুমা হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে

    কালনা মহকুমা হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে

  • দেশ
  • বিনোদন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
    BSNL-এর বড় ঘোষণা! অর্ধেক দামে আনলিমিটেড কলিং ও ডেটা, শুরু মাত্র ₹১৯৯ থেকে!

    BSNL-এর বড় ঘোষণা! অর্ধেক দামে আনলিমিটেড কলিং ও ডেটা, শুরু মাত্র ₹১৯৯ থেকে!

    Trending Tags

  • জানা অজানা
  • খেলা
    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    ২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    সাত দশকের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সাথে নতুন দর্শকাশনের সূচনা কাটোয়ায়

    Trending Tags

No Result
View All Result
newsnetwork7.com
No Result
View All Result
Home জানা অজানা

রাঢ়দেশের বইঘরের আদি অনন্ত

রণদেব মুখোপাধ্যায়

রাঢ়দেশের বইঘরের আদি অনন্ত
Share on FacebookShare on Whatsapp

রণদেব মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া:- রাঢ়বঙ্গে বইঘরের পথচলা শুরু হয়েছিল কার্যত চৈতন্যযুগ থেকে।রামচন্দ্রপুরের ভূমিপুত্র শাস্ত্রজ্ঞ নিমাই মিশ্র টোল প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই পড়ুয়াদের জ্ঞানচর্চার সুবিধায় বিদ্যানগরে বইঘরের পত্তন করেছিলেন। টোলের প্রথাগত বিদ্যার্জনের পাশাপাশি সমাজবিষয় থেকে অন্যান্য পারিপার্শ্বিক বিষয়ে ছাত্রদের সচেতন কর‍তে বইঘরের পত্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন নিমাই মিশ্র। টোলের ছাত্ররা বইঘরে বসেই তাদের জ্ঞানচর্চার সুযোগ পেত। জ্ঞানচর্চা মানুষের মনের দরজা খুলে দেবে এই আশায় নানান বিষয়ের পুঁথি তাঁর বইঘরে ঠাঁই পেয়েছিল। নানান পুঁথির সমাহারে তৈরি নিমাই মিশ্রের বইঘরের কথা নবদ্বীপের শাস্ত্রজ্ঞদের লেখায় পাওয়া যায়। গয়ায় পিতার পিণ্ডদানের পর নবদ্বীপ ফিরে নিমাই মিশ্র টোলে যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাংলায় তখন সুলতানি শাসনে অস্থির পরিস্থিতি চলছে। শোনা যায় সেইসময় তাঁর সাধের বইঘরের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বইঘরের যাবতীয় পুঁথি পণ্ডিত রঘুনাথ শিরোমণির হাতে তুলে দিয়েছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ নিমাই পণ্ডিত। নিমাই সন্ন্যাসদীক্ষা নিতে নবদ্বীপ ত্যাগ করেছিলেন। কাটোয়ায় সন্ন্যাসদীক্ষান্তে শ্রীচৈতন্যদেব নামে পরিচিত হয়েছিলেন। বিদ্যায়, শাস্ত্রশিক্ষায় চৈতন্যযুগের শুরু হল। সেইসময় রাঢ়বঙ্গে টোলবাড়ি গুলি ছিল এক একটি বইঘর। ষোড়শ শতকের শুরুতে জ্ঞানচর্চায় মিথিলার পর ছিল নবদ্বীপ। নবদ্বীপ থেকে অনেক গুণী ছাত্র পক্ষধর মিশ্রের টোলে শাস্ত্রজ্ঞ, নৈয়ায়িক পড়তে যেতেন। মিশ্রের বইঘর দেখে রঘুনাথ শিরোমণি নবদ্বীপের উপকন্ঠে বিদ্যানগরে বইঘর সহ টোল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন গ্রন্থাগারের জন্ম হয়নি। ছাপা অক্ষরের বদলে পুঁথি বেশি প্রচলন ছিল। সংস্কৃত পুঁথি শব্দ থেকে বাংলায় পুস্তিকা শব্দ এসেছে। প্রায় প্রতিটি বইঘরে শাস্ত্রীয় পুস্তিকা থাকত। দার্শনিক রঘুনাথ শিরোমণির লক্ষ্য ছিল দেশের মধ্যে নবদ্বীপকে নব্য ন্যায় চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়নে আসা ছাত্রদের জ্ঞানচর্চার জন্য বইঘর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শুধু নয় চতুষ্পাঠী স্থাপন করেছিলেন।প্রখ্যাত দার্শনিক পণ্ডিত রঘুনাথের চিন্তাতেই নবদ্বীপ কেন্দ্রীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বইঘর করার আবশ্যিক হয়েছিল।রঘুনাথের চিন্তায় ব্রাহ্মণরা খুবই সঙ্কটে পড়েছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড,যাজিগ্রাম, কান্দরা, ক্ষীরগ্রাম, দেয়াসিন, সিঙ্গি, মুস্থুলি, ব্রজরাজপুর, সাগরপুর, ওকড়সা, গঙ্গাটিকুরি, নিরোল, মাজিগ্রাম, কৈচর, কানাইডাঙ্গা, আমগোরিয়া, উদ্ধারণপুর মেমারি, আমাদপুর, জামালপুর, সহ বিস্তীর্ণ রাঢ়বঙ্গে শাস্ত্রজ্ঞরা টোলবাড়ি প্রতিষ্ঠা করে ছাত্রদের শাস্ত্র পাঠ দিতে শুরু করেন। নবদ্বীপ কেন্দ্রীক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইঘর ছিল আবশ্যিক । চৈতন্য উত্তরকাল থেকে সাম্প্রতিক সময়ে মাঝে মধ্যেই এইসব গ্রামের প্রাচীন টোলবাড়ি বা পণ্ডিত মশাইদের উত্তরাধিকারদের বাড়ি থেকে বহুমূল্যবান পুঁথি উদ্ধারের নজির আছে। বৈষ্ণব ধর্ম চর্চায় সমৃদ্ধ জনপদ ছিল কাটোয়া। কাটোয়া সংলগ্ন শ্রীখণ্ড ছিল কৃষ্ণ ভজনার প্রাণকেন্দ্র। শ্রীখণ্ডে বেশ কয়েকটি টোলবাড়ি ছিল। তৎকালীন সময়ে গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহের রাজবৈদ্য ছিলেন মুকুন্দ সরকার। চৈতন্য পরিকর নরহরি সরকার ছিলেন মুকুন্দের সহোদর ভাই । শ্রীখণ্ডের বৈষ্ণব ইতিহাস থেকে জানা যায় শ্রীখণ্ডে বড়ডাঙ্গায় নরহরির টোলবাড়ি সহ বইঘরের খরচ দিয়েছিলেন গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ। প্রাচীনকাল থেকেই জ্ঞানচর্চার জন্য বইঘরের পিছনে রাজন্য পৃষ্ঠপোষকতার কথা শোনা যায়। প্রাচীনযুগ, মধ্যযুগ এমনকি অষ্টাদশ শতকেও রাজারা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যালাভের জন্য রাজকোষ থেকে ব্যয় করেছেন যেমন নজির আছে আবার অনেক রাজা বা শাসক বইঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে এমন নজিরও পাওয়া যায়।
চৈতন্যযুগের স্মার্ত পণ্ডিত নৈয়ায়িক শাস্ত্রজ্ঞ দার্শনিক রঘুনাথ শিরোমণির “অনুমানদীধিতি” গ্রন্থে বাংলার অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগারের উল্লেখ পাওয়া যায়। মিথিলার পণ্ডিত শাস্ত্রজ্ঞ পক্ষধর মিশ্রের টোলবাড়িতে একটি বড়সড় বইঘর বা গ্রন্থাগার ছিল সে তথ্য রঘুনাথ শিরোমণি তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন। মিথিলার টোল বাড়িতে ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়নে অখণ্ড ভারতের সঙ্গে নবদ্বীপ থেকেও অনেকে ছাত্র গিয়েছিলেন। সেইসময় নবদ্বীপের স্মার্ত পণ্ডিত , নৈয়ায়িক শাস্ত্রজ্ঞরা টোলবাড়িকে গ্রন্থাগার বা বইঘর হিসেবে ব্যবহার কর‍তেন।বাংলার অন্যতম বৃহৎ গ্রন্থাগার হল শ্রীখণ্ডের ভূমিপুত্র নরহরি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি শ্রীখণ্ড টোলবাড়ি। শ্রীখণ্ড গ্রামের বড়ডাঙ্গায় বৈষ্ণবপদকর্তা লোচনদাস,গোবিন্দদাস কবিরাজ, সুলোচন, বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার প্রসারের জন্য টোলবাড়িতে বসেই জ্ঞানচর্চা করতেন। শাস্ত্র পাঠের করতে স্থানীয় জ্ঞানপিপাসুরা টোলবাড়িতে যেতেন। চৈতন্য উত্তরকালে শ্রীখণ্ডের টোলবাড়ি গৌড়দেশে অন্যতম গ্রন্থাগার হিসেবে মান্যতা পায়। একদা বৈদ্যখণ্ড বা খণ্ডগ্রাম যে চৈতন্য স্পর্শে শ্রীখণ্ড নামে পরিচিত হয়েছিল সে কথা গৌড়দেশে অনেকেই জানেন। মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের কল্পবৃক্ষের পঞ্চমশাখার ও বহুসংখ্যক উপশাখার লীলাভূমি হল এই শ্রীখণ্ড গ্রাম। বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কিছুটা দক্ষিণে অবস্থিত এই গ্রাম বৈষ্ণব সাহিত্যের সাধনার অন্যতম চর্চাভূমি হিসাবে পরিচিত।ষোড়শ শতাব্দীর শুরু থেকেই বৈদ্যখণ্ড বা খণ্ডগ্রামকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল বৈষ্ণব সাধনার পীঠস্থান। বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান চর্চাকেন্দ্র ছিল শ্রীখণ্ড । গ্রামে ছিল বেশ কয়েকটি টোল । সুপণ্ডিত রাখালানন্দ ঠাকুর ও বৈষ্ণবাচার্য সর্বানন্দ ঠাকুরদের বাড়িতে টোল গুলিতেই গড়ে উঠেছিল সেকালের স্থায়ী গ্রন্থাগার।সে সময় তেমন ভাবে পাঠচর্চাকেন্দ্র গড়ে ওঠে নি বলেই শাস্ত্রী মহাশয়দের বাড়িই ছিল পাঠচর্চাকেন্দ্র। বৈষ্ণব সাধনায় জারিত এই পুণ্যভূমিতে যাঁরা জন্মেছিলেন নরহরি সরকার ঠাকুর, মুকুন্দ, রঘুনন্দন, গোবিন্দদাস কবিরাজ, চিরঞ্জীব , সুলোচন, রামচন্দ্র, দামোদর, প্রমুখ।এই বৈষ্ণব পীঠের টোলবাড়িতে জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনে কেশব ভারতী, মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ, লোচনদাস, গদাধর, ব্রহ্মানন্দ, শ্রীনিবাস আচার্য, গোবিন্দ ঘোষ, বাসুদেব ঘোষ, মাধব ঘোষ , অভিরাম গোস্বামী প্রমুখ বৈষ্ণব পণ্ডিত প্রবর এসেছিলেন। এই টোলবাড়ির অঙ্গনেই প্রথম গৌরাঙ্গের দারুমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন নরহরি সরকার এবং এখান থেকেই গৌরনাগরী ভাবের প্রচলন হয়েছিল। এইরকম এক পুণ্যভূমিতে প্রাচীন বৈষ্ণব পুঁথি আজও গ্রামীণ পাঠাগারে সংরক্ষিত আছে। তবে তার হাল খুবই খারাপ। প্রায় অবেহেলায় পড়ে আছে নানান ভাষায় লেখা অসংখ্য পুঁথি এই পুঁথিগুলিকে বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে অচিরেই লুপ্ত হবে বাংলার অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগারের অমূল্য সম্পদ। শ্রীখণ্ড গ্রামে চিত্তরঞ্জন পাঠাগারে মোট ২২০টি পুঁথি আছে। ৬৯টি বান্ডিলে সেগুলি রাখা আছে।তালপাতা, তুলোট কাগজে লেখা বহু দুর্মূল্য প্রাচীন পুঁথির স্থান হয়েছে লাল শালুর ভিতরে। বাংলা, সংস্কৃত ছাড়াও আছে তামিল ও উর্দু ভাষার পুঁথি।শ্রীখণ্ড গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সর্বানন্দ চতুষ্পাঠীর পুঁথিগুলিই এখন নিশ্চিত আশ্রয় পেয়েছে চিত্তরঞ্জন পাঠমন্দিরে। রাজ্যের বহু বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব এই পুঁথি দেখতে আজও শ্রীখণ্ড গ্রামে আসেন। শ্রীরূপ গোস্বামীর রচিত ‘উজ্জ্বলনীলমণি’র পুঁথি শ্রীখণ্ডে সর্বানন্দ ঠাকুরের টোলবাড়িতে রক্ষিত ছিল। পণ্ডিত গোপালভট্ট রচিত হরিভক্তিবিলাস, কৃষ্ণকৌমুদী, কৃষ্ণবল্লভী ও রসিকরঞ্জনী, কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর রচিত অনেক পুঁথি আজও শ্রীখণ্ডের চিত্তরঞ্জন পাঠাগারে লাল শালুতে বাঁধা পড়ে আছে। রূপ গোস্বামীর বিদগ্ধমাধব, ভক্তিরসামৃত সিন্ধু, উজ্জ্বলনীলমণির মত গ্রন্থের পুঁথি গ্রন্থাগারের আলমারিতে কাপড়বন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। পুঁথি দেখে অনুমান করা যায় সারস্বত বৈষ্ণব সাধক নরহরি সরকার শ্রীখণ্ডে কত উচ্চমানের বইঘরের পত্তন করেছিলেন।


বইপড়লে জ্ঞান বাড়বে, আর জ্ঞান বাড়লেই জিজ্ঞাসার ক্ষিদে বাড়বে। জিজ্ঞাসা থেকে জানার আকাঙ্খা তৈরি হবে। জেনে গেলে মানুষ সচেতন হবে। প্রাচীন যুগ থেকে বইপড়ার মাহাত্ম্য ছিল এইরকম। মানব ইতিহাসে যখন থেকে গ্রন্থাগারের জন্ম হয় তখন থেকেই গ্রন্থাগারের উপর নগ্ন হামলার নিদর্শন পাওয়া যায়। তৎকালীন রাজাদের এটা একটি সমস্যা ছিল। প্রজাদের মুর্খ করে রেখে দেওয়ার প্রবণতা থেকে রাজারা এই ধরনের নিন্দনীয় কাজ করত। মানব সভ্যতার প্রায় শুরুর সময়কাল থেকেই গ্রন্থাগারের উদ্ভবের কথা আমরা জানতে পারি। মানুষ যখন গাছের বাকল পরে থাকত পাথরে খোদাই করে লিখে মনের ভাব প্রকাশ করত তখন থেকেই মানুষের মধ্যে জ্ঞানকে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কথা জানতে পারা যায়। গবেষকদের মতে সেই সময় থেকে গ্রন্থাগারের উদ্ভব হয়েছিল। অতীতে রাজা-বাদশাহদের পৃষ্ঠপোষকতায় বড় বড় গ্রন্থাগার গড়ে উঠেছিল। আবার তেমনই রাজা বা শাসকদের ইন্ধনে বেশ কিছু গ্রন্থাগারকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছিল। দেশের প্রাচীন গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত আসুরবানিপালের গ্রন্থাগার, আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার, পার্গামাম গ্রন্থাগারের ইতিহাস থেকে আমরা জ্ঞানচর্চার অসংখ্য উল্লেখ পেয়েছি।বিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউরোপ যখন ঠিকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেনি তখন স্পেনের জ্ঞান চর্চার জন্যে যে অগণিত বই ব্যবহার করার তথ্য আমরা জানতে পারি। স্পেনের তৎকালীন কার্ডোভা লাইব্রেরীতে ধর্মীয় গ্রন্থ বা পুঁথি, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, দর্শন, আইন ইত্যাদি বিষয়ের প্রায় চল্লিশ লাখের এক বিশাল সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছিল। যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বইভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল। বইভাণ্ডার বা গ্রন্থাগার গুলো ধ্বংসের ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় রাজা বা শাসকদের বইয়ের উপর রাগ ছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীনতম গ্রন্থাগারটি নির্মমভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল।বইপ্রেমিক মানুষেরা কেঁদেছিলেন। হিটলারের সময়কালে ফরাসি দেশে নাৎসিরা বহু গ্রন্থাগারের নির্বিচারে বই পুড়িয়ে দিয়েছিল।রাজধানী বার্লিনের বেবেল লাইব্রেরির বহুমূল্যবান বই-নথি শহরের রাজপথে ফেলে সমস্ত রাত ধরে নাৎসিরা পুড়িয়েছিল। এই নাক্কারজনক কাজের ইতিহাস অনেকেই জানেন। ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে স্পেনকে করায়ত্ব করার পর খ্রিস্টানরা সেখানকার কার্ডোভা লাইব্রেরিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলে এবং অসংখ্য বই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাসে জনশ্রুতি আছে, কর্ডোভা লাইব্রেরির পোড়া বইয়ের ধ্বংসাবশেষের ছাইয়ের স্তুপে গোয়াদেল কুইভার নদীর স্রোত বন্ধ হয়েছিল। যুগে যুগে কখনও গ্রন্থাগার ধ্বংস আবার কখনও বই পুড়িয়ে দেওয়ার মূল কারণ হল পরাজিত প্রতিপক্ষের উপর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ প্রদর্শন , আবার কখনও বা ভিন্ন জাতির শ্রেষ্ঠত্ব বা কীর্তি ও আবিস্কারকে প্রাধান্য না দিয়ে চিরতরের জন্য ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা।

আমাদের তন্ত্রশাস্ত্রে যাকে যন্ত্র বলে বই যে তেমনই সাংকেতিক নির্মাণ বলেছিলে এক ফরাসি কবি দার্শনিক। বই ক্রমশ আধুনিকতার বাহক হয় উঠল। বই যে শুধু কিছু লেখা দিয়ে ভর্তি পাতার সমাহার নয়। গ্রন্থাকারের রচনার শরীরজুড়ে অনুস্যূত হয়ে থাকে তাঁর আত্মা। গ্রন্থকে অনেক দার্শনিক আত্মপরিচিতির বাহক হিসেবে মূল্যায়ন করেন। বৈষ্ণবসাধনার চর্চাভূমিতে বছরের পর বছর ধরে বিদগ্ধ বৈষ্ণবপদকর্তাদের চিন্তার ফসলের পুঁথিকে সযত্নে আগলে রেখেছিল শ্রীখণ্ডের টোলবাড়ির সদস্যরা। শ্রীখণ্ডের ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস থেকে জানা যায় সপ্তদশ শতকের শুরুর দিকে বিষ্ণুপুরে ডাকাতদের হাতে লুট হয়ে যাওয়া কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর রচিত মূল্যবান পুঁথি উদ্ধারের পর শ্রীখণ্ডের ঠাকুবাড়ির টোলবাড়ির বইঘরে ঠাঁই পেয়েছিল। জানা যায় শ্রীনিবাস আচার্য নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই পুঁথির অনুলিপি করিয়ে শ্রীখণ্ডের টোল বাড়িতে রেখেছিলেন। এই সব পিঁথি বা পুস্তিকা পাঠ করে গৌড়ের বৈষ্ণব সাধকরা যেন বৃন্দাবনের ষড়গোস্বামীদের চিন্তনকে সহজে উপলব্ধি করতে পারেন। সর্বানন্দ ঠাকুরের বইঘর থেকে বৈষ্ণব সাধক কবি জ্ঞানদাসের রচিত মনোহরশাহি কীর্তনের সৃষ্টির কাহিনির কিছু অমূল্য পুঁথি পাওয়া যায়। এছাড়াও লোচনদাসের রচিত ধামালি গানের পাণ্ডুলিপি শ্রীখণ্ডের টোলবাড়িতে রক্ষিত ছিল। বিংশ শতকের প্রথম দশকে রাঢ়বঙ্গের অনেক জনপদে টোলবাড়িতে বসে জ্ঞানচর্চার দিনের অবসানের যাত্রা শুরু হয়। কিছুটা দেরিতে বৈষ্ণবতীর্থ শ্রীখণ্ডে গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে গ্রামের নিগমানন্দ ঠাকুরের গ্রন্থাগার পত্তন হয়। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ১ জুলাই পল্লী কবি কুমুদরঞ্জনের হাত ধরে শ্রীখণ্ডের চিত্তরঞ্জন পাঠাগারে পথচলা শুরু হল। টোলবাড়ির বইঘরের মূল্যবান পুঁথি গ্রন্থাগারে কিছু স্থান পায়।পরে গ্রামের বিদ্বজ্জনদের উপস্থিতিতে অনেক আলাপ আলোচনার পর কবিরাজবাড়ির টোলবাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে চারশ বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল্যবান পুঁথি চিত্তরঞ্জন পাঠাগারে ঠাঁই পায়। বর্তমানে অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে ঘরের একটি কাঠের আলমারিতে ৬৯ টি বাণ্ডিলে ২২০ টি বিভিন্ন ভাষায় রচিত পুঁথি অবহেলায় পড়ে আছে।রবীন্দ্রনাথ,নজরুল, সুনীল গাঙ্গুলি, সমরেশ মজুমদারের রচনার পাশে বৃন্দাবন্দাস ঠাকুরের চৈতন্যভাগবত, লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গল, কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত সহ বানভট্টের হরিভক্তিবিলাসের ছাপা বইয়ের পাশে এককোণে পড়ে আছে আলমারি বন্দী প্রাচীন পুঁথি। এককালের বইঘরের অমূল্যসম্পদের করুণ পরিনতি শ্রীখণ্ডে দেখা যায়।

রাঢ়বঙ্গে অখণ্ড বর্ধমান জেলায় বইঘরের সংখ্যা ছিল ৩২৪ টি। জে,কে,পিটারসনের জেলা গেজেটিয়ারের উল্লেখিত তথ্য অনুসারে কাটোয়া,কালনা, বর্ধমান ও রানীগঞ্জ মিলিয়ে মোট বইঘরের সংখ্যা ৩২৪ হলেও ব্যক্তিগত বইঘরের তালিকা এরমধ্যে স্থান পায়নি। জেলায় সবচেয়ে প্রাচীন বইঘর বা গ্রন্থাগার হল বর্ধমানের মেমারির বাগিলা বঙ্কিম পাঠাগার। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। এই বইঘর প্রতিষ্ঠার পিছনে ছিল টোলবাড়ির বইঘরের জ্ঞানচর্চার কাহিনি এবং দেশাত্মবোধে উদবুদ্ধ হওয়ার তাগিদ। তৎকালীন সময়ে সময়ে এলাকার বিদ্যোৎসাহী প্রগতিশীল ব্যক্তিরা ইংরেজ শাসনের অবসান চেয়ে এলাকার যুবক-যুবতীদের একত্রিত করতে গ্রামে গ্রামে সংগঠন তৈরিতে হাত দিয়েছিল।প্রথমেই গ্রামে সাংস্কৃতিক অঙ্গন তৈরি করতে প্রতিষ্ঠা করা হত গ্রন্থাগার বা পাঠাগার বা লাইব্রেরি।দেশাত্মবোধের চাহিদা থেকে অখণ্ড বর্ধমান জেলায় বহু গ্রন্থাগারের জন্ম হয়েছে। বাগিলার পর কেতুগ্রামের মৌগ্রামে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বীণাপানি গ্রন্থাগারের জন্ম হয়। নদীতীরবর্তী প্রত্যন্ত এক গ্রাম যেখানে শহরের টিকি দেখা পাওয়া যায়না। কতিপয় যুবক দেশাত্মবোধে উদবুদ্ধ হয়ে একটি গ্রন্থাগারের জন্ম দিয়েছিল। শতবর্ষ পার করা গ্রন্থাগারে আজও আপনি পঞ্চানন তর্করত্নের “আধাত্ম্য রামায়ণ” বইটি পড়তে পারবেন। গ্রামীণ বইঘরের শুরু হয়েছিল এলাকার বিদ্যোৎসাহী রামরূপ রায়চৌধুরীর বৈঠখানায়। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কাটোয়া শহরের ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মৌগ্রামের দিবাকর ঘোষ, উপেন্দ্রলাল ঘোষ। ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বছর খানেক কারাবাস হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগৃহ ছিল জল জঙ্গলে ঘেরা ছোট জনপদের গ্রামীণ পাঠাগার বা বইঘরগুলি। উনবিংশ শতকের শেষ দশকের হিসেবে কাটোয়া মহকুমায় ১৫৭ টি বইঘর ছিল। কালনা মহকুমায় ছিল ১০৬ টি বইঘর। বেশিরভাগ বইঘর জন্ম নিয়েছিল টোলবাড়ির পাঠশালা থেকে। চৈতন্য উত্তিরকালে কাটোয়া ও কালনা মহকুমার শতাধিক জনপদ ছিল বৈষ্ণব সাধকদের সাধন ভজনের জায়গা।বৈষ্ণব সাধক মোহান্তরা অনেকেই টোলবাড়িতে যাতায়াত করতেন। বিংশশতকের শুরুর দশক থেকে মহকুমার গ্রামে গ্রামে যে সব বইঘর বা গ্রন্থাগার জন্ম নিয়েছিল তাদের অধিকাংশ স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছিল।কেউ প্রকাশ্যে বিপ্লবীদের মদত করত আবার কেউ গোপনে বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়ে উঠেছিল। কাটোয়া মহকুমার অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার হল শ্যামলাল লাইব্রেরি। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত J K C Paterson এর প্রকাশিত বর্ধমান জেলা ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে জেলার পাঁচটি গ্রন্থাগারের মধ্যে কাটোয়ার শ্যামলাল লাইব্রেরির নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। “There are Five Public Libraries in the District, The Burdwan Raj Public Library The Kalna Mayo Library The Katwa Shyam Lal Library and a Public Library at Ranigunj … The Kalna Mayo Library partially supported by the Municipality and those at Katwa and Ranigunj are maintained by Public Subscriptions…”.কাটোয়ার শ্যামলাল লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা নিয়ে নজির বিহীন ঘটনা আছে। কাটোয়ার গৌরাঙ্গপাড়ায় তামালতলার বাসিন্দা বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার থেকে জন্ম হয়েছিল শ্যামলাল লাইব্রেরির। কাটোয়ার জনদরদি বিদ্বজ্জন মহকুমা শাসক শ্যামলাল গুপ্তের নামে গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়। গ্রন্থাগার নির্মাণের জন্য কাটোয়া শহরের চৌরাস্তায় প্রকাশ্য সভা করা হয়েছিল। কাটোয়ার তৎকালীন উপপৌরপ্রধান ভূপতিনারায়ণ অধিকারীর ব্যবস্থাপনায় সভা হয়েছিল। শহরের শিক্ষিত মার্জিত ভদ্রজনেরা লাইব্রেরির সদস্য ছিলেন। জনসভায় অগ্রদ্বীপের জমিদার রমাপ্রসাদ মল্লিক লাইব্রেরির জন্য দশ হাজার টাকা দান করেন। জমিদারের অর্থের সঙ্গে শহরের বইপ্রেমিক মানুষের চাঁদা যোগ করে রামপ্ররসাদ টাউনহল নির্মাণ করা হয়। কাটোয়ার টাউনহলের পূর্বদিকের একটি ঘরে শ্যামলাল লাইব্রেরির স্থায়ী জায়গা হয়। আড়াই হাজার বই ও কিছু পুঁথি নিয়ে শ্যামলাল লাইব্রেরি ভালোই চলছিল। সদস্য চাঁদা ছিল ছয় আনা।একসময় ১২০ সদস্যের লাইব্রেরির চাঁদা অনেকের বকেয়া পড়তে শুরু কতল ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে শ্যামলাল লাইব্রেরি সাংগঠনিক জটিলতায় পড়ে। লাইব্রেরির পরিচালন সমিতির গঠনতন্ত্রের জটিলতা আইন আদালত পর্যন্ত গড়ালো।নানান ঘটনা দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে ক্রমে কাটোয়া শহরের এক সময়েত গর্বের শ্যামলাল গ্রন্থাগার নি:স্ব হয়ে পড়ল।জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পড়ে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে জুকাই মাসে শ্যামলাল লাইব্রেরির দরজায় তালা ঝুলল।কাটোয়ার অরাচীন জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র চিরতরে বন্ধ হল। অশান্ত বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ কাটোয়ায় পড়ল।বিধান রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যের গ্রন্থাগার নিয়ে প্রভূত কাজ করেছেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে অগস্ট মাসে কাটোয়ায় সরকার পোষিত গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হয়। বহু টাল বাহানার পর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শ্যামলাল লাইব্রেরির ১৭০৯ টি বই এবং আসবাব পত্রগুলো কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারে ঠাঁই পায়।স্বাধীনতার পত্র পত্রিকা, ভারতবর্ষ, বসুমতী, শনিবারের চিঠি, বিশ্বভারতী ও প্রবাসী পত্রিকার সংখ্যাগুলো মহকুমা গ্রন্থাগারে রাখা হয়।বহুমূল্য প্রাচীন গ্রন্থের সঙ্গে ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রাধাকান্ত দেব রচিত “শব্দকল্পদ্রুম” পুস্তক শ্যামলাল লাইব্রেরি থেকে কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারে ঠাঁই পেয়েছিল।
জেকেসি পিটারসন-এর বর্ধমান জেলা গেজেটিয়ার অনুসারে উনবিংশ শতকের শেষ দশক থেকে বিংশ শতকের শুরুর দশক পর্যন্ত কাটোয়া মহকুমার ৪৫৬ টি মৌজায় ১৫৭ টি গ্রন্থাগার বা বইঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।গেজেটিয়ার অনুসারে কালনা মহকুমার ৫৩৪ টি মৌজায় ১০৪ টি গ্রন্থাগার বা বইঘরের সন্ধান পাওয়া যায়। বইঘর গুলির মধ্যে অধিকাংশ ছিল টোলবাড়ির মধ্যে বাকি কিছু বইঘর বা গ্রন্থাগার ছিল ব্যক্তিগত মালিকানার। আশি শতাংশ বইঘরের অপমৃত্যু হয়েছে। জ্ঞানচর্চার আলো কালের নিয়মের ফাঁসে পড়ে নিবে গিয়েছে। আবার কিছু বইঘর বা গ্রন্থাগারের মৃত্যু ঘটেছিল দেখভালের অভাবে। বর্তমানে অখণ্ড বর্ধমান জেলায় সরকার পোষিত গ্রন্থাগারের সংখ্যা হল ২১২ টি। পূর্ব বর্ধমানের সরকার পোষিত গ্রন্থাগারের সংখ্যা হল ১৫১ টি কাটোয়া মহকুমায় মাত্র ৩০ টি গ্রন্থাগার সরকার পোষিত আছে। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে গ্রন্থাগার বা বইঘরের মৃত্যুর হার কেমন ছিল। প্রাকস্বাধীনতার সময়েকালে গ্রন্থাগারের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল চোখে পড়ার মত। মহকুমার প্রায় প্রত্যেক গ্রামে একটি গ্রন্থাগারের সঙ্গে শরীর চর্চার নাম দিয়ে ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯২৫-৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে গ্রন্থাগারগুলিতে মহিলারা সদস্য হয়েছিল। কাটোয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরধা গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুরমা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহিলাদের সংগঠন তৈরি হয়েছিল। পেশায় চিকিৎসক গুণেন বাবু কলকাতা থেকে নানান ধরনের বই কিনে স্ত্রী সুরমা মুখোপাধ্যায়কে দিতেন । সেই বই কাটোয়ার মহিলা সংগঠনের মধ্যে পড়ার জন্য দেওয়া হত। দেশাত্মবোধের চেতনায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে-বৌয়ের দল বই পড়ে বিপ্লবের হালহকিকত বুঝতেন। সুরমা দেবীর ইচ্ছায় কাটোয়ার বারোয়ারি তলায় গুণেন বাবুর বসত বাড়ির একটা ঘর রীতিমত গ্রন্থাগারের চেহারা নিয়েছিল। সুরমা মুখোপাধ্যায়ের সহ তিন মহিলা ব্রিটিশ বিরোধী বই রাখা ও বিলি করার দায়ে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে চার মাস কারাবাস করেছিলেন।আদালতে নির্দেশে তৎকালীন বর্ধমানের জেলাশাসক এল এম স্টুয়ার্টের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সুরমা মুখোপাধ্যায় সহ তিন মহিলা জেল থেকে মুক্তি পান। বইঘর প্রতিষ্ঠা করার দায়ে ব্রিটিশ পুলিশের রোষে পড়ে কারাবাসের ঘটনা খুবই বিরল ছিল। মহিলারা বই পড়ার জন্য পাঠাগারে বা গ্রন্থাগারের সভ্য হয়েছিল।কালনা মহকুমার মন্তেশ্বরের দেনুর গ্রামের দিক্ষিত পরিবারের ছেলের সঙ্গে কলকাতার চিকিৎসক পরিবারের কন্যার বিয়ে হয়। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা। নীলিমা দিক্ষিত তার চিকিৎসক বাবার কাছে শ্বশুরবাড়িতে বইঘর করে দেওয়ার আবদার করেছিল। কারণ প্রত্যন্ত গ্রামে অবসর সময় কাটাতে বই ছিল একমাত্র সঙ্গী। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে দেনুর গ্রাম হল পূণ্য ভূমি। দেনুরে বৈষ্ণব পদকর্তা বৃন্দাবন দাসের সাধনভূমি। এছাড়াও দেনুর গ্রামে চৈতন্যদেবের সন্ন্যাস দীক্ষাগুরু কেশব ভারতীর জন্মস্থান। ষোড়শ শতকের তৃতীয় দশকে দেনুরে পাঁচটি টোল ছিল।নবদ্বীপের বাসুদেব সার্বভৌমের ছাত্র গুরুপ্রসাদ ঠাকুরের টোল ছিল। দেনুরের বইঘর থেকে পুঁথি জেলার বিভিন্ন টোলবাড়িতে সরবরাহ করা হত। কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে ছিল চতুষ্পাঠী টোল। রামরাম ভট্টাচার্য মশাইয়ের টোলবাড়ি লাগোয়া ছিল বইঘর। মনোহরশাহি পরগণার ভট্টাচার্যের বিখ্যাত বইঘর থেকে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার প্রসার চলত। চতুষ্পাঠীতে পড়তে লাগোয়া বীরভূম ও ফতেসিং মৌজার কৃতি ছাত্ররা আসতেন। খাটুন্দির টোলবাড়ির বইঘর ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যায়। কয়েকশ বছরের হাজার হাজার প্রাচীন পুঁথি ঈশাণীর জলে ভেসে গিয়েছিল বলে বংশধর দেবনারায়ণ ভট্টাচার্য জানান। মনোহরশাহি পরগণার জ্ঞানচর্চার অন্যতম পীঠস্থানের অকালমৃত্যু এলাকার বিদ্যোৎসাহী মানুষরা ব্যাথা পেয়েছিল। বৈষ্ণব পণ্ডিত কেশব ভারতীর বাবা মুকুন্দ ভট্টাচার্যের পিতৃভিটে ছিল এই খাটুন্দি। বর্তমানে সরকার পোষিত গ্রন্থাগার বা পাঠাগারগুলি জন্ম হয়েছিল ব্যক্তিগত বইঘর থেকে নতুবা টোলবাড়ির পরম্পরা থেকে নাতো দেশাত্মবোধের চেতনায় ভরপুর এলাকার বিদ্যোৎসাহী যুবকদের সদিচ্ছা থেকে।১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রামের শিক্ষিত মুসলিম যুবক আবদুল হাই তাঁর বাবার টাকায় বাড়িতেই আস্ত গ্রন্থাগার তৈরি করলেন। এলাকার পড়ুয়াদের বই পড়াবে ও নিজে বই পড়বে। ছাত্র থেকে বুড়ো সকলেই নিখরচায় আবদুল হাইয়ের গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে আসত। কয়েক দশক এই ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার এলাকার জ্ঞান পিপাসু মানুষের তেষ্টা মিটয়েছিল। গ্রাম্য সংকীর্ণ রাজনীতির ফাঁসে জ্ঞানচর্চার কপাট বন্ধ হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রায় হাজার দেড়েক বই সহ পত্রপত্রিকা আবদুলের পরিবার কলকাতায় একটি প্রতিষ্ঠানকে দান করে দিয়েছিল বলে জানা যায়। খাজুরডিহি গ্রামে আরও একটি ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। বিত্তবান ক্ষিতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে নিজের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে নিজের বসতবাড়িতে গ্রন্থাগার করে ছিল।গ্রন্থাগারের পরিধি পরিবারের সীমানা ছাড়িয়ে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল। গোটাগ্রাম নিখরচায় বই নিয়ে যেত। ক্ষিতীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সাধের গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক বছর পর গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে নতুন করে গ্রন্থাগারের পত্তন করেছিল। সেই গ্রন্থাগারে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির অবশিষ্ট বইগুলো ঠাঁই পেয়েছিল।

বাংলায় মহাভারতের ভাবানুবাদ করে মধ্যযুগের সাহিত্যে রেখাপাত করেছিলেন কবি কাশীরাম দাস।কায়স্থপুত্র কাশীরামের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল সিঙ্গির বিখ্যাত টোলবাড়িতে। শিবনাথ শাস্ত্রীর পিতা পঞ্চানন তর্কালঙ্কারের চতুষ্পাঠীতে ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময় বহু গুণীছাত্র পড়াশোনা করেছিলেন। পঞ্চানন তর্কালঙ্কার নৈয়ায়িক হয়েছিলেন নবদ্বীপের বিদ্যালয়ে।সিঙ্গির শিবনাথ শাস্ত্রীর বসত বাড়ি থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উদ্ধার করা পুঁথি থেকে জানা যায় কাশীরাম দাস প্রত্যেকদিন সকালে টোলবাড়ির ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতেন। ছাত্রদের পানীয় জল পাত্রে ভরে রাখতেন। একথা কবির ভ্রাতুষ্পুত্র নন্দরাম বা জামাই জিৎ ঘটক তাদের গ্রন্থে লিখে গিয়েছেন। যাইহোক ব্রাহ্মণপ্রধান সিঙ্গি গ্রামে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব ছিল। পাঁচটি টোলের মধ্যে শিবনাথ শাস্ত্রীর বড় টোলবাড়ি ছিল। শাস্ত্রী মশাইয়ের বইঘর ছিল। কয়েকশ বছর পর টোলিবাড়ি লাগোয়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রন্থাগার তৈরি হয়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে সিঙ্গিতে কাশীরাম দাস স্মৃতি সমিতির নামে গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছিল। পরে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ১৫ এপ্রিল তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় সিঙ্গি গ্রামে গিয়ে কাশীরাম দাস পাঠাগারের উদবোদন করলেন। বিধানচন্দ্র রায় ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যের গ্রন্থাগারের একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্যের জ্ঞানচর্চার পীঠস্থানগুলোর উন্নতিসাধনের চেষ্টা করেন। কাটোয়া মহকুমার করুইয়ের ভূমিপুত্র ছিলেন কবিশেখর কালিদাস রায়। করুইয়ে গ্রন্থাগারের জন্ম হয়েছিল টোলবাড়ি থেকে। বাঁধমুড়া গ্রামে জন্ম হয়েছিল জনকবি দাশরথী রায়ের।বাংলার অন্যতম পাঁচালিকারের নামে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে বাঁধমুড়ায় একটি গ্রন্থাগারের জন্ম হয়। যদিও বাঁধমুড়া গ্রামে বইপাগল কিছু মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি গ্রন্থাগার পরিচালনা করত। কালনা মহকুমার বহড়া গ্রাম ছিল বাঙালির প্রথম ছাপা খানার জনক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বসত ভিটে। নিজের ভিটেতেই ছাপাখানা স্থাপনা করেছিলেন। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ১৫ মে গঙ্গাকিশোর বাংলায় প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশ করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন। বাঙালির প্রথম প্রতিষ্ঠিত পুস্তক ব্যবসায়ীর বহড়া ছাপাখানা লাগোয়া বাড়িতে ছিল নিজস্ব বইঘর। গ্রন্থাগারে অন্যান্য লেখকের বই ছাড়া নিজের লেখা ইংরাজি ও বাংলা বইও ছিল। প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বই মজুত করা হত বহড়া গ্রামের গঙ্গাকিশোরের বইঘরে। চাহিদামত নৌকাযোগে চিৎপুরের মোকামে চলে যেত বাণ্ডিল বাণ্ডিল বই। বর্ধমান রাজার মহাফেজ খানা সূত্রে জানা যায় ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের বইঘর ছিল।
######
তথ্য ঋণ:
ক) বর্ধমান জেলা প্রশাসন,
খ) তুষার পণ্ডিত,প্রাবন্ধিক কাটোয়া,
গ) চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক আজকাল,

Related Posts

মোবাইল ফোন কত পার্সেন্টেজ অবধি চার্জ দেওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?
জানা অজানা

মোবাইল ফোন কত পার্সেন্টেজ অবধি চার্জ দেওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?

October 12, 2025
ভাস্কর পণ্ডিতের দুর্গাপুজো?
জানা অজানা

ভাস্কর পণ্ডিতের দুর্গাপুজো?

October 12, 2025
জঙ্গলে মুখ ঢেখেছে ইতিহাসের ছাপাখানা
জানা অজানা

জঙ্গলে মুখ ঢেখেছে ইতিহাসের ছাপাখানা

September 7, 2025
ভাইরাল ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষী প্রশান্ত কিনি
জানা অজানা

ভাইরাল ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষী প্রশান্ত কিনি

October 12, 2025
Next Post
জঙ্গলে মুখ ঢেখেছে ইতিহাসের ছাপাখানা

জঙ্গলে মুখ ঢেখেছে ইতিহাসের ছাপাখানা

ভাস্কর পণ্ডিতের দুর্গাপুজো?

ভাস্কর পণ্ডিতের দুর্গাপুজো?

Techkri Techkri Techkri
Plugin Install : Widget Tab Post needs JNews - View Counter to be installed
  • Trending
  • Comments
  • Latest
প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

October 13, 2025
১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

October 12, 2025
২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

October 12, 2025
রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

October 12, 2025

Recent News

প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

প্রবাস কর্মসূচিতে এসে কাটোয়া বিধানসভায় জয়লাভ করার কথা বললেন বিজেপি বিধায়ক

October 13, 2025
১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

১২০০ -র পর আরও CCTV বসছে কাটোয়া শহরে! পরিদর্শনে আইসি

October 12, 2025
২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

২২ গজে রেকর্ডের বৃষ্টি গিলের ব্যাটে

October 12, 2025
রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

রাজ্যে টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন দপ্তরের

October 12, 2025
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
Email: news@newsnetwork7.com

© 2025 Newsnetwork7 - Design & Development by Techkri.

No Result
View All Result
  • হোম
  • পূর্ব বর্ধমান
  • জেলার খবর
  • দেশ
  • বিনোদন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
  • জানা অজানা
  • খেলা

© 2025 Newsnetwork7 - Design & Development by Techkri.